
Srijaner Podaboli (Bengali Podcast)
By Srijan Kundu
Namaskar, Ami Srijan Kundu
Jiboner tukro tukro katha, byaktigato anubhuti , sab ek jaygay rakhar jonne ei podcast .
/*
The views and opinions expressed or implied herein are my own and does not reflect those of my employer, who shall not be liable for any action that may result as a consequences of my views / opinions
*/

Srijaner Podaboli (Bengali Podcast)May 24, 2023

Kathal, Okhil chandra sen and innocent jackfruit of Netflix
I am arrive by passenger train at Ahmedpur station and my belly is too much swelling with jackfruit. I am therefore went to privy. Just I doing the nuisance the guard making whistle blow for train to go off and I am running with lota (water pot) in one hand and dhoti (clothes) in the next. When I am fall over and expose all my shockings to man and woman on platform. I am got leaved at Ahmedpur station.
This too much bad, if passengers go to make dung, the damn guard not wait train five minutes for him? I am therefore pray your honour to make big fine on that guard for public sake otherwise I am making big report to papers.
Yours faithfull servant
Okhil Chandra Sen
Original letter by Mr Sen
কথায় বলে, গাছে কাঁঠাল গোঁফে তেল। কিন্তু গাছে যদি কাঁঠাল টাই না থাকে, তাহলে কি হবে ? সেই নিয়েই সিনেমা - কট হল। বাংলায় কাঁঠাল , নাহ কাঁঠাল বলা ঠিক হবে না, বাংলায় বললে বলতে হবে এঁচোর, যাকে একসময় আদর করে গাছ পাঁঠা বলে ডাকা হত । নেটফলিক্সের এই এঁচোর কি সুস্বাদু হল ? সেই নিয়েই আমি সৃজন, আজ সৃজনের পডাবলিতে আড্ডা দেব আপনার সাথে ।
নেটফলিক্সের কাঁঠাল নিয়ে বলার আগে, একটা দারুন গল্প বলে শুরু করি, গল্প নয়, নির্ভেজাল সত্যি ঘটনা । ঘটনাটা কাঁঠাল নিয়েই, তবে পাকা কাঁঠাল । এবং একটা কাঁঠাল কিভাবে আজকের রেলযাত্রাকে একটু বেশি comfortable করে তুলেছে সেই ঘটনা । সালটা উনিশশো নয়, দোসরা জুলাই , ব্রিটিশ ভারতের ঘটনা । অখিল চন্দ্র সেন, সাহেবগঞ্জ রেল ডিভিশনকে খুব কড়া করে একটা চিঠি লিখলেন । কি লেখা ছিল সেই চিঠিতে ?
সেই চিঠিতে অখিল বাবু জানাচ্ছেন যে আহমেদপুর স্টেশনে ট্রেন আসার পর উনি দেখেন ওনার পেট খুব চাপ দিচ্ছে, কারন, উনি প্রচুর কাঁঠাল খেয়ে এসেছেন। তো উনি নামলেন একটু হাল্কা হতে । উনি যখন ব্যাপারটা সারছেন, সেই সময় গার্ড বাঁশি বাজিয়ে দেয় এবং ট্রেন চলতে শুরু করে । উনি তখন আর কি করবেন, এক হাতে লোটা ও অন্য হাতে ধুতি নিয়ে দৌড় লাগালেন যদি ট্রেনটা ধরা যায়। কিন্তু কপাল খারাপ, পা পিছলে পড়লেন প্ল্যাটফর্মে আর সেখানে থাকা নারী পুরুষের সামনে ওনার কিছু আর গোপন থাকল না। আর সেই ট্রেন চলে গেল ওনাকে আমেদপুর রেখে ।
পরের প্যারায় উনি লিখছেন, কেউ যদি এরকম বিপদে পড়ে, গার্ড কি পাঁচ মিনিট একটু দাঁড়াতে পারে না ? এরকম খারাপ গার্ডের বড়সড় একটা ফাইন হওয়া উচিত । আর গার্ডকে ফাইন না করলে উনি খবরের কাগজে কড়া করে একটা চিঠি লিখবেন বলে ধমকি ও দেন ।
এই চিঠি সরকার বাহাদুরকে রীতিমতো প্রভাবিত করেছিল বলাই যায়, এবং এর ফল স্বরূপ আজ আমরা ট্রেনে টয়লেট দেখতে পাই এবং আমাদের দূর পাল্লার যাত্রা অনেকটাই বেটার হয়েছে । তবে আজকের টপিক টয়লেট নয়, কাঁঠাল ।
গল্পের শুরুতে দেখা যায়, পুলিশ ইন্সপেক্টর সানিয়া মালহোত্রা বুদ্ধি করে, সাহস দেখিয়ে কুখ্যাত এক অপরাধীকে পাকড়াও করেন। কিন্তু ক্রেডিট নিয়ে চলে যান ওপরের পুলিশ কর্তারা। এর পর দেখা যায়, স্থানীয় বিধায়কের আঙ্কেল হং প্রজাতির দুটো এঁচোর চুরি যায়, সেই এঁচোর খোঁজার দায়িত্ব দেওয়া হয় সানিয়াকে । সানিয়ার প্রেমিক তার অধীনে কাজ করেন। প্রেমিক উঁচু জাত, সানিয়া নিচু । সে নিয়েও প্রেমিকের বাবার আপত্তি । যাই হোক, কাঁঠাল চুরির প্রথম সন্দেহ পরে বিধায়ক বিজয় রাজের বাগানের মালির উপর । মালির খোঁজ লাগিয়ে পুলিশ সহজে খুঁজে পায় না। মালিকে পাওয়া যায় পুলিশ ফাঁড়িতে যখন সে তার হারিয়ে যাওয়া মেয়ের জন্য রিপোর্ট লেখাতে আসে। মজার ব্যাপার, সে বেশ কয়েকবার এসে ফিরে গেছে আগে।
গল্পে উত্তর ভারতের প্রত্যেকটা ছোট ছোট ইস্যু খুব সুন্দর করে তুলে ধরা হয়েছে সেটা নারী পাচার কিম্বা পনপ্রথাই হোক বা জাতপাতের সমস্যাই হোক অথবা পুলিশ বা রাজনীতির অনেক ছোট ছোট কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ দিক ।
শেষে কি মালির মেয়ে কে পাওয়া গেল ? এঁচোর কি সেই চুরি করেছে ? কি হল চুরি যাওয়া এঁচোরের ? সে সব বললে সিনেমা দেখার মজাটা চলে যাবে। তাই সে সব আর বলছি না , শুধু এটুকুই বলব, যদি পঞ্চায়েত ভালো লেগে থাকে, যদি সহজ সরল জীবনের গল্প দেখার ইচ্ছে থাকে তাহলে এই সুস্বাদু ইঁচোরের স্বাদ মুখে লেগে থাকবে অনেক দিন। আর রচপাল যাদব, রঘুবীর যাদব, বিজয় রাজ, বিজেন্দ্র কালা, গুরপাল সিং এদের মতন পোড় খাওয়া অভিনেতাদের পাশাপাশি, নতুন রাও খুব বিশ্বাসযোগ্য অভিনয় করেছেন ।
আমি আগেও বলেছি, আমি রিভিউ করি না, তাই কোন রেটিং দেই না, দেব ও না। তবে বলব নেটফ্লিক্স থাকলে এটা দেখে ফেলুন, আমার ওপর ভরসা করে । আমাকে জানাতে ভুলবেন না কেমন লাগল নেটফ্লিক্স এর কাঁঠাল। আর অতি অবশ্যই জানাবেন কেমন লাগল পডাবলীর এই এপিসোড ।
পরের এপিসোড কি নিয়ে সেটা জানতে তো সাবস্ক্রাইব বা ফলো করতেই হবে যেখানে শুনছেন এই পডকাস্ট। না করলে আপনি মিস করবেন, আমার কি !

8K gechi | Atke Gechi | আটকে গেছি
গত সপ্তাতেই বলেছিলাম, জায়গা পাল্টাচ্ছে , সেটা হয়ে গেছে। পুরুলিয়া থেকে চলে এসেছি, দেশের রাজধানী শহর দিল্লীতে, দ্বারকায় । রাজধানীর বিশুদ্ধবাদীরা অবশ্য দ্বারকাকে দিল্লীর বাইরে মনে করে । টেকনিক্যালি অবশ্য তাই ই। কলকাতার যেমন সল্টলেক বা নিউ টাউন, দ্বারকা ও দিল্লীর ক্ষেত্রে সেরকমই ।
সে যাই হোক, এবারের এপিসোডে বিশেষ কিছু বলার নেই । বা অনেক কিছু বলার আছে, আগে একটু গুছিয়ে নিতে হবে নিজেকে । ঘেঁটে আছি । দিল্লীর গল্প শোনাব আপনাকে ।
এই কালীদা… ওহ কালীদা কোথায় এখানে ? একটা অচেনা , অজানা জায়গা । রাস্তায় বেরিয়ে চায়ের দোকান নেই । তবে গাদাখানেক মোমোর দোকান আছে। এখানে আবার মোমোর সাথে মেয়োনিজ দেয়, স্যুপটা দেয় না । খাবারের দোকানের জন্য বেশ অনেকটা দূরে দূরে যেতে হয় । একটু হাঁটা হয়ে যায় । এই এপিসোডটা থেকে যদি কিছু ভ্যালু addition হবে ভাবছেন , বোধহয় ভুল ভাবছেন । কোন টপিক ছাড়া , একদম খালি মাথায় আজ কথা বলতে বসেছি । ছোট্ট একটা এপিসোড ।
ইন ফ্যাক্ট এটা এপিসোডই না । কিন্তু আপনার সাথে নিজের ভাষায় কথা বলার যে আরাম , সেটা মিস করব না বলেই জাস্ট এ সপ্তায় কথা বলতে বসেছি । আজ কিছু বলব না । আজ ঊনিশে মে রাত্রে আমি রেকর্ড করছি এপিসোড । উনিশে মে র গুরুত্ব জানেন ? দুটো এপিসোডের লিংক দিলাম ডেস্ক্রিপশনে । একুশে ফেব্রুয়ারি যতটা মনে করা ঊনিশে মে কে ততটা মনে করা হয় কি ? কলকাতার খবরের কাগজ , টিভিতে কতটা কথা হয় এই নিয়ে ?
ভাবুন একটু । কোক স্টুডিও বাংলার ফার্স্ট সিজনে একটা গান ছিল, ওরা আমার মুখের ভাষা কাইরা নিতে চায়, গানটা শুনুন আর ভাবুন একটু ।
সামনের সপ্তায় আশা করছি নিজেকে একটু গুছিয়ে নিতে পারব । কথা হবে । ভালো থাকবেন । টাটা ।
Links -
spoti.fi/3IsnRV1
spoti.fi/42QNA1P
youtu.be/QDQG0wZEPkc

Shabash Feluda Kemon Laglo Amar !!
পঁচিশে বৈশাখ গেল । পঁচিশে বৈশাখে রবীন্দ্রনাথ নিয়ে বলা উচিত ছিল। ইনফ্যাক্ট আমার বাড়িতে বিশ্বভারতীর ফুল সেট রবীন্দ্ররচনাবলী আছে । কিন্তু আমার কাছে, রবীন্দ্রনাথ, ঠাকুরই থেকে গেছেন । দূর থেকে শ্রদ্ধা করি, দু একটা কবিতা, গান কানে আসলে ভালো লাগে। ব্যাস ওই টুকুই । তাই বলে রবীন্দ্রনাথ কি পুরো পুরো বাদ যাবেন ? সেটা হয় কখনো ? রবীন্দ্রনাথকে নিয়ে কয়েকটা দারুন পডকাস্টের খোঁজ দিলাম। ওনাদের লেটেস্ট এপিসোড শোনার অনুরোধ রইল
রবির আলোয় সাথে স্বাগতা - spoti.fi/3pzY6vk
পারু কথা by পারমিতা - spoti.fi/3LTUSud
ইচ্ছে উড়ান - spoti.fi/3O18A0Y

Rang Tulir Satyajit
লিটল ম্যাগাজিনের লেখা অনবদ্য
কবীর সুমন যখন সত্যজিতের ছবি বলছেন বা আমরাও সত্যজিৎ রায়ের কথা ভাবছি, সবার প্রথমে ওনার ছায়াছবির কথাই মনে পড়ে। তারপর লেখক সত্যজিৎ। কিন্তু ওনার আঁকা দারুন সব ইলাস্ট্রেশন !! সেটা কজনের মনে পড়ে ? আজ রবীন্দ্র পরবর্তী যুগের এই বহুমুখী প্রতিভাধর মানুষটির তুলনামূলক কম আলোচিত দিক নিয়ে আমি সৃজন, আমার এই পডকাস্ট, সৃজনের পডাবলীতে, আড্ডা দেব আপনার সাথে । তবে এই আড্ডা হবে মূলত শ্রী দেবাশীষ দেবের লেখা, সিগনেট প্রেস থেকে প্রকাশিত "রং তুলির সত্যজিৎ" এই বইয়ের উপর ভিত্তি করে।
সত্যজিৎ রায় নিজের কর্মজীবন কোন পেশায় শুরু করেছিলেন জানেন ? একজন পেশাদার আঁকিয়ে হিসাবে । যদিও পথের পাঁচালির পর চিত্রপরিচালক পরিচয়টা বাকি সব কিছুকে ঢেকে দেয় ।
ছবি আঁকার গুণটা উত্তরাধিকার সূত্রে পাওয়া । দাদু উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরী ও বাবা সুকুমার দুজনেই পেন্টার এবং ইলাস্ট্রেটর হিসাবে পারদর্শী ছিলেন । 1940 সালে সত্যজিৎ ,শান্তিনিকেতনের কলাভবনে ভর্তি হয়েছিলেন প্রেসিডেন্সি কলেজ থেকে ইকনমিক্সে গ্র্যাজুয়েশন করার পর। যদিও চার বছরের এই কোর্সের আড়াই বছর যাওয়ার পর ছেড়ে চলে এসেছিলেন কলকাতায় । তার কিছুদিন পরে 1943তে advertising agency ডি.জে কিমারে যোগ দেন জুনিয়র আর্টিস্ট হিসাবে । এই কম্পানির ম্যানেজার দিলীপ কুমার গুপ্ত, যিনি ডি.কে নামেই বেশি পরিচিত ছিলেন তিনি চালু করেন প্রকাশনা সংস্থা - সিগনেট প্রেস। সিগনেটের অনেক অনেক কাজের মধ্যে একটা ছিল "আম আঁটির ভেঁপু" । এই আম আঁটির ভেঁপুর ইলাস্ট্রেশন করতে করতেই মাথায় আসে পথের পাঁচালির । যে ছবি মুক্তি পায় 1955 এ। তারপর তো বাকিটা ইতিহাস। সিনেমা নিয়ে ব্যস্ত হয়ে যাওয়ায় ইতিমধ্যেই ছেড়ে দিয়েছেন বিজ্ঞাপন সংস্থার চাকরি। 1961 তিনি ফিরিয়ে আনেন বন্ধ হয়ে যাওয়া মাসিক পত্রিকা সন্দেশ । তাই সিনেমার পোস্টার, বুকলেট, টাইটেল কার্ড এসবের পাশাপাশি কভার, ইলাস্ট্রেশন, লোগো, লেটারিং এসবেও তাকে বেশ ভালো ভাবেই পাওয়া গেল ।
রঙ তুলির সত্যজিৎ এই বইতে চারটে চ্যাপ্টার আছে - প্রচ্ছদ, অলঙ্করণ, অক্ষর শিল্প, সিনেমার নেপথ্যে।
সত্যজিতের প্রথম প্রকাশিত ডিজাইন ছিল তার বাবা, সুকুমার রায়ের পাগলা দাশুর প্রচ্ছদ। মনে রাখতে হবে পাগলা দাশু কিন্তু সুকুমারের জীবদ্দশায় প্রকাশ পায়নি। সেটা 1940 সাল । সত্যজিৎ তখন সবে কলা ভবনে ভর্তি হয়েছেন ।
এরপর দিলীপ কুমার গুপ্তর সিগনেট প্রেস এবং তারপরে আরও অনেক প্রকাশনা সংস্থার হয়ে প্রচ্ছদ এবং ইলাস্ট্রেশন । তবে সেরা কাজ গুলো বেশিরভাগই বোধহয় সিগনেটের বইগুলোতে দেখা যায়। আমরা যারা সিগনেটের জীবনানন্দ দাশের বনলতা সেন বা রূপসী বাংলা পড়েছি, কতজন খেয়াল করেছি যে এই কালজয়ী বইগুলোর প্রচ্ছদ সত্যজিতের করা। ইন ফ্যাক্ট , এই দুটো বইয়ের টাইটেল পেজেও তুলির সামান্য আঁচড়ে পুরো একটা বই সম্পর্কে ধারনা করে দেওয়া যায়, সেটা তিনি দেখিয়েছেন । এছাড়াও উপেন্দ্রকিশোর, সুকুমার, লীলা মজুমদার সহ আরো অনেকের বইতেই প্রচ্ছদ তাঁর করা। এর মধ্যে বিশেষ ভাবে উল্লেখযোগ্য জিম করবেটের লেখার অনুবাদ কুমায়ুনের মানুষখেকো বাঘ । বাঘের গায়ে গুলি লাগলে যেমন হয়, তেমন ভাবে ডোরাকাটার মধ্যে গুলি এক দিক দিয়ে ঢুকে অন্য দিক দিয়ে বেরিয়েছে এটা প্রচ্ছদে দারুন ভাবে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। তবে একটা সময়ের পরে , যখন সিনেমা আর লেখালেখি নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়লেন ওনার করা কভার মূলত দেখা যেতে লাগল ওনার নিজের বইগুলোতে - ফেলুদা, প্রফেসর শঙ্কু আর সন্দেশ । রঙ তুলির সত্যজিৎ - এই বইতে খুব ডিটেলে বলা আছে এটা নিয়ে ।
বইয়ের পরের চ্যাপ্টার অলঙ্করণ । আমরা যারা ছোট থেকে সত্যজিতের বই পড়ে অভ্যস্ত, আমরা জানি পাতায় পাতায় ওনার আঁকা ছবি, গল্পটা ভিসুয়ালাইজ করতে কতটা সাহায্য করে । সত্যজিৎ নিজেকে পেন্টারের বদলে ইলাস্ট্রেটর হিসাবে ভাবতেই পছন্দ করতেন । সিগনেটের অনেক গুরুত্বপূর্ণ কাজই ওনার করা। সুকুমার আর উপেন্দ্রকিশোরের বইগুলোতে অনেক সময়েই মূল আকার সাথে সাযুজ্য রেখে নিজের স্বকীয়তা সৃষ্টি করেছেন। আবার যদি জটায়ুকে দেখা যায়, সোনার কেল্লা সিনেমা বানানোর আগের জটায়ু আর পরের জটায়ুর ইলাস্ট্রেশনে পরিবর্তন খুব সহজেই চোখে পড়ে । পরের জটায়ু অনেক বেশি সন্তোষ দত্ত ঘেঁষা । তবে ফেলুদার ইলাস্ট্রেশনে কিন্তু সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের আদল খুব একটা পাওয়া যায় না। এছাড়াও ওনার আঁকায় , কলমের আঁচড়ের দক্ষতায় , আলো আঁধারি খুব চমৎকার ভাবে ফুটে উঠেছে । আনন্দমেলায় শঙ্কুর জন্য অনেক রঙিন ইলাস্ট্রেশন ও করেছেন উনি।
বইয়ের পরের চ্যাপ্টার অক্ষর শিল্প। দেশ পত্রিকা থেকে শুরু করে নন্দন সব লোগোতেই ওনার ক্যালিগ্রাফির দক্ষতার পরিচয় পাওয়া যায় । সন্দেশ বা এক্ষনের মতন পত্রিকাই হোক বা ওনার নিজের গল্পের বই । শান্তিনিকেতনে বিনোদ বিহারী মুখোপাধ্যায়ের কাছে শেখা ক্যালিগ্রাফির সফল প্রয়োগ করেছেন বারবার । যেগুলো সেই সময়ে ছাপা হওয়া কবিতার বইগুলোকে নিয়ে ...

Bideshi Ganer Banglayan
Transcript -
আমার বেড়ে ওঠা মফস্বল শহর বসিরহাটে । সে সময় এখনকার মতন ইন্টারনেট ছিল না, ফলে, গান বাজনা সম্পর্কে জ্ঞান মূলত বাংলা ও টিভি-সিনেমার দৌলতে হিন্দি এই অব্দিই আটকে ছিল। কলেজে আসার পর, ইংরেজি গান নিয়ে খুব সামান্য ধারনা হয়। অথচ ইতিমধ্যেই বেশ কিছু গান শুনেছি, বাংলা বা হিন্দিতে, যে গুলো মূলত বিদেশি গানের ওপর বেস করে বানানো। আজ সৃজনের পডাবলিতে, আমি সৃজন, আপনার সাথে আড্ডা দেব এরকমই কয়েকটা গান নিয়ে যেগুলো আসলে ইংরেজি বা অন্য ভাষায় গান হলেও, সেই বিদেশি কাঠামোতে যখন বাংলার নরম উর্বর মাটির প্রলেপ পড়েছে, সেগুলো হয়ে উঠেছে বাঙালির নিজের গান ।
চন্দ্রবিন্দুর মৌনমুখরতা আমি আগে শুনেছি, পরে সাউন্ড অফ সাইলেন্স । তার ও পরে শুনছি সুমনের স্তব্ধতার গান । সাইমন - গারফ্যাংকলের sound of silence কালজয়ী একটা গান । শুরু হচ্ছে - হ্যালো ডার্কনেস মাই ওল্ড ফ্রেন্ড , আই হ্যাভ কাম টু টক উইথ এগেইন । সুমন বাংলায় করলেন - আজ আমি ফিরে এসেছি, তোমার পাশে বসেছি । চন্দ্রবিন্দুর ক্ষেত্রে সেটাই হয়ে গেল - ক্ষনিকের এই স্তব্ধতা, দৃষ্টির নিবদ্ধতা ,এলোমেলো হওয়া চুলগুলো, নিয়মিত অবাধ্যতা - শুধু এই টুকু অংশই একটা ছোটগল্প হতে পারে। কবীর সুমন আমার খুব প্রিয় গায়ক । আরো বেশি করে প্রিয় লিরিসিস্ট । কিন্তু এই গানটার ক্ষেত্রে আমার মনে হয়েছে, সুমন কিছুটা আক্ষরিক অনুবাদের দিকে বেশি ঝুঁকেছেন । অন্যদিকে সাউন্ড অফ সাইলেন্সের প্রতিশব্দ বাংলায় মৌনমুখরতা আমায় কিন্তু বেশি টেনেছে । in fact, মৌনমুখরতা, মূল গানের ছাঁচের ওপর বসানো চন্দ্রবিন্দুর নিজের একটা গান বলা যেতেই পারে । "হতে পারে এটা অভিনয়, তবু এইটুকু মন্দ নয়" এই একটা লাইন তো জাস্ট বাঁধিয়ে রাখার মতন। বা বলা যায় পুরো গানের কথাগুলোই ।
কদিন আগেই হ্যারি বেলাফন্টে চলে গেলেন । ওনার একটা গান নিয়ে বলি - জামাইকা ফেয়ারওয়েল । পৃথিবী বিখ্যাত গান । সেটার সব থেকে জনপ্রিয় বাংলা ভার্সন - পথের প্রান্তে ওই সুদুর গাঁয় । বেলাফন্টে গাইছেন বিচ্ছেদের, বিষাদের সুর - I am sad to say I am on my way , won't be back for many a day. রঞ্জনপ্রসাদ গাইলেন - কোন সুদূর সেই স্বপ্নপুর, মোর মন যে গায় ঘরে ফেরার সুর । ঘর ছেড়ে চলে যাওয়া আর ঘরে ফেরা দুটো জাস্ট আপোজিট ফিলিং। অথচ একদম এক সুরে কেমন চাকতি চাকতি মিলে যায় । রঞ্জনপ্রসাদ ছাড়াও আরো অনেকে এই গানের ওপর বাংলা কথা বসিয়েছেন নিজের মতন করে, তবে জামাইকা ফেয়ারওয়েলের আমার সব থেকে প্রিয় বাংলা ভার্সন তালপাতার সেপাইয়ের কলকাতা ফেয়ারওয়েল । বেলাফন্টের গান আমাকে যত না কষ্ট দেয়, তার থেকে বেশি কাঁদায় কলকাতা ফেয়ারওয়েল । শুনলেই বুকের ভেতরটা মুচড়ে ওঠে । এমনিতেই এখন বাড়ি থেকে সাড়ে তিনশ কিলোমিটার দূরে আছি, সামনের মাস থেকে সেটা দেড় হাজার কিলোমিটার হতে চলেছে । আপনার সাথে এই আড্ডাটাও অনিয়মিত হতে চলেছে বেশ কিছুদিন, যতদিন না একটু সেটল করে যাচ্ছি । সে সব নিয়ে অন্য একদিন আড্ডা দেব আজ গান নিয়ে বলি।
সাহেবি গানের বাংলায়ন নিয়ে কথা হবে আর সেই এপিসোডে অঞ্জন দত্তের নাম না নিলে অপরাধ হবে । জন ডেনভারের কান্ট্রি রোড টেক মি হোম হয়ে যায় ঘর, ফেরা হয়নি আমার ঘর । লিওনার্ড কোহেনের সিস্টার অফ মার্সি হয়ে যায় অঞ্জনের শুনতে কি চাও , মৌলালির মালা, কলকাতা 16 র anglo ইন্ডিয়ান যার সাহেবি জিন থাকলেও আদ্যোপান্ত বাঙালি।
বাজারে গিয়ে আমি যদি আপনাকে বলি আলু, পেঁয়াজ, টম্যাটো, লঙ্কা এই সব বাঙালির কমন সবজি আসলে বিদেশি এবং শশাঙ্ক ছেড়ে দেই, সিরাজউদদৌলার সময়েও বাংলায় পাওয়া যেত না, আপনি হয়ত অবাক হবেন। অথচ এখন এগুলো সবই পুরো দস্তুর বাঙালি খাবার হয়ে উঠেছে, এগুলো ছাড়া বাঙালি কোন খাবার ভাবাই কঠিন হয়ে যায়। বিদেশি গান ও তেমনি বাংলা লিরিকের সাথে প্রেম করে antony ফিরিঙ্গির মতন, সাহেবিয়ানা ঝেড়ে ফেলে, দিব্বি বাংলা গান হয়ে গেছে । তাই গলা ছেড়ে গাইতেই পারি - আমি যা কিছু মহান বরণ করেছি বিনম্র শ্রদ্ধায়, মেশে তেরো নদী সাত সাগরের জল গঙ্গায় পদ্মায় ।
গান নিয়ে কথা হবে আর রবীন্দ্রনাথ আসবেন না সেটা হয় না । পুরানো সেই দিনের কথা , ফুলে ফুলে ঢলে ঢলে এরকম কয়েকটা গানে, বিদেশি গানের কাঠামো ব্যবহার হলেও গানগুলো ভীষণভাবেই আমাদের নিজস্ব - বাংলার , বাঙালির।
এপিসোড বড় করব না, অনেক গান বাদ পড়ে গেল। তবে আমি তো আর ডেটাবেস বানাতে বসিনি, আপনার সাথে আড্ডা দিতে বসেছি । আর এই এপিসোডে, যে গান গুলো নিয়ে কথা হল, সেগুলো কেটে কেটে ঢোকানো যেত, কিন্তু কোনটা কপিরাইটের ফাঁদে পড়বে জানা নেই । তাই সে রাস্তায় গেলাম না , সব গুলোই ইউটিউব বা স্পটিফাইতে পাওয়া যাবে। সময় পেলে শুনে দেখতে পারেন।
কেমন লাগল এই এপিসোড ? জানাবেন আমাকে !

The Eken Ruddhaswas Rajasthan kemon dekhlam
Eken Babu title track credit : SVF / Hoichoi / Mayukh Mainak
Original track link : youtu.be/LN1WXzR95FM

Charok, Gajan, Tarakeshwar aar Tero Parboner Itikatha by Jahar Sarkar
Cover pic : Arindam Dutta

Indubala Bhater Hotel
Indubala Bhater Hotel , Indubala Go কুমড়ো ফুলের বড়া বিউলির ডাল ছ্যাচড়া আম তেল মালপোয়া চিংড়ির হলুদ গালা ঝাল চন্দ্রপুলি কচু বাটা
এই হল ইন্দুবালা ভাতের হোটেলের আটটা চ্যাপ্টার, বইয়ের। আমি বই সাধারণত ফিজিক্যাল বই, হাতে নিয়ে আরাম করে পড়তে পছন্দ করি। ইন্দুবালা ভাতের হোটেলের এত বেশি সুখ্যাতি দেখেছিলাম ফেসবুকে, হাল্কা একটু সন্দেহ হয়েছিল, তাই আমি কিন্ডল ই-বুক কিনেছিলাম। পরে অবশ্য আপশোস হয়েছিল, মনে হয়েছিল বইটা হার্ড কপি কিনলেই ভালো হত। এবার হইচইতে দেখলাম ইন্দুবালা ভাতের হোটেল। কি মনে হল, চলুন আজ সেটা নিয়েই আপনার সাথে আড্ডা দেওয়া যাক সৃজনের পডাবলীতে। “ট্যুরিস্ট হয়ে নিজের বাড়ি যেতে ভালো লাগে না” লাস্ট এপিসোডের একটা লাইনে রিভিউ ফিনিশ। এর আগে অব্দি মনে হচ্ছিল, বইতে এটা পড়েছিলাম, দেখালো না কেন, খুলনার লোক ঢাকাই ভাষায় কথা বলছে কেন এরকম। স্পেশালি , ফার্স্ট চারটে এপিসোডের সময়। শেষ চারটে এপিসোডের আগে আমি পাঠান দেখলাম প্রাইমে। তারপর ইন্দুবালার কোন খুঁত এমনিতেই কম মনে হচ্ছিল। ক্লাসের ফার্স্ট বয় যে হয় সে ইতিহাস , বাংলা এই সব সাবজেক্টে ভালো করে বলেই ফার্স্ট হয়। ম্যাথস, সায়েন্সে তো ক্লাসের প্রথম দিকের সবাই কম বেশি ভালোই হয়। ইন্দুবালা ভাতের হোটেল ওয়েব সিরিজ খুব খুব ভালো হওয়া সত্ত্বেও ফার্স্ট গার্ল বলা যাবে না। কেন বলা যাবে না বলি - দু এক দিন আগেই ইন্দুবালা ভাতের হোটেল এই বইয়ের লেখক কল্লোল লাহিড়ীর অন্য একটা বই নিয়ে লেখায় ওনার জার্নি নিয়ে লেখা আছে। সেখানে দুটো জায়গার নাম আছে - শিবহাটি আর আরবেলিয়া, দুটোই বসিরহাট শহরের কাছে, দুটো জায়গাই বসিরহাট মহকুমার পার্ট। বসিরহাট থেকে ঘোজাডাঙ্গা বর্ডার হার্ডলি দশ কিলোমিটার মতন হবে। উনি নিজে খুলনার ভাষা, সংস্কৃতি, ফুড হ্যাবিট ভালোই জানেন। আমার ও কিছুটা জানা আছে, কারন আমার বেড়ে ওঠার শহর - বসিরহাট। স্বাভাবিক ভাবেই, যখন বইতে চুই ঝালের কথা বলা হচ্ছে, ইছামতির কথা বলা হচ্ছে, আমি খুব easily relate করতে পারছি। ওয়েব সিরিজ খুবই ভালো, তবে রিলেট করতে পারলাম না। খুলনা পেলাম না , ছুঁই ঝাল পেলাম না। খুলনার লোকের ডায়লেক্ট আর ঢাকার ডায়লেক্ট এক নয় , সেটা লেখক কেন পরিচালককে বললেন না সেটা ভেবে অবাক হলাম । এই হইচই ই তো এতো এতো বাংলাদেশি কন্টেন্ট প্রোডিউস করছে, এই ডায়লেক্ট নিয়ে সাহায্য, ওনাদের বাংলাদেশ কাউন্টার পার্ট যারা আছেন, তাদের থেকে কি পেতেন না ? কি জানি । কোক স্টুডিওর মুড়ির টিন গানে বাংলাদেশের তিনটে ডায়লেক্ট ব্যবহার হয়েছে । সিলেটি আর চাটগাইয়া কে উপভাষা না বলে ভাষাই বলা যায় । খুলনার টা বোধ হয় ভাষা নয় । সে যেটাই হোক, খুলনার লোকের মুখে খুলনার ভাষা না দিয়ে টিপিক্যাল বাঙাল ভাষা হিসাবে যেটা আমরা জানি সেটার ব্যবহার ওয়েব সিরিজটার একটা বড় দুর্বলতা । আর এই সিরিজের বিরাট বড় সম্পদ - গান গুলো। একটাও জোর করে ঢোকানে বলে মনে হয়নি। তবে গান নিয়ে কিছু বিতর্ক ছিল, হাল্কা স্বজনপোষনের অভিযোগ ছিল। তবে দর্শক হিসাবে , rather শ্রোতা হিসাবে আমার ভিতরের খবরে কি দরকার। ফাইনাল প্রোডাক্ট ভালো হলেই ভালো। গানের পাশাপাশি এডিটিং এর আলাদা করে প্রশংসা করব। পুরো সিরিজ জুড়ে অসংখ্য জাম্পকাট - তাতে গল্পে কোন ঝটকা লাগে নি। আমি যদি বইটা না পড়ে সিরিজটা দেখতাম, আমার বিশ্বাস আরো ভালো লাগত। বইটা পড়তে পড়তে খুব রিলেট করে নিয়েছিলাম। নিজের মনে একটা ছবি আঁকা হয়ে গেছিল, সেটা দেখেছি, অনেক কিছুই মেলেনি। ইন্দুবালার নিজের হাতে লাগানো কুমড়ো শাক রান্না করে হোটেল শুরু করার ব্যাপারটা রাখা যেতে পারত। “চিংড়ির হলুদ গোলা জল” এই গল্পটা পর্দায় খুব খাপছাড়া লেগেছে। গল্পে কিন্তু খুব প্রয়োজনীয় একটা অংশ। খুলনার মানুষের মুখে বাঙাল ভাষা তো কানে লেগেছে, এটা তো আগে বলেইছি। কিন্তু এরকম খুঁতখুঁতানি এড়িয়ে আমি বলব , দেখুন - যদি না ইতিমধ্যে দেখে থাকেন, আর দেখতে ইচ্ছে না করলে করলে বইটা পড়ুন। সাম্প্রতিক অতীতের খুব ভালো কাজ গুলোর একটা। মিস করবেন না। আর একটা খুব ভালো ওয়েব সিরিজ দেখলাম - ডাকঘর, ওটা নিয়েও বলব একদিন । যদি মনে হয় এই এপিসোড আপনার ভালো লেগেছে, তবে আপনার বন্ধুদের সাথে ফেসবুক, whatsapp এ শেয়ার করতে ভুলবেন না। আর ফলো, সাবস্ক্রাইব এগুলো করে রাখবেন। তাহলে এপিসোড আসলে মিস করবেন না।

Duarsini Bandhdi / Offbeat Purulia / Part 4
লোকেশনটা ঝালদা থেকে কালিমাটি মোড়ের মধ্যে কোথাও , আরো স্পেসিফিক্যালি বললে জারগো আর কালিমাটির মধ্যে , গুগল ম্যাপে ম্যাক্সিমাম zoom করে পাচ্ছি জায়গার নাম বান্ধডি।
দেবী দুয়ারসিনি, অখন্ড মানভূম শুধু নয়, পুরো রাঢ় বাংলাতেই ছড়িয়ে আছেন। দুয়ারসিনি বা দ্বারবাসিনী, প্রচলিত লোক দেবতা। ফিজিক্যাল রূপ সেভাবে পাওয়া যায় না , বাংলার আরো অনেক লোক দেবতার মতন, পাথরেই পুজো হয়। যদিও কোথাও কোথাও দেবী দুয়ারসিনি, দেবী দুর্গার সাথে বা দুর্গার শেপে মিশে গেছেন।
কেমন লাগল আজকের এপিসোড ? ভালো লাগলে এপিসোডের লিংক বন্ধুবান্ধবের সাথে ফেসবুকে , whatsapp এ শেয়ার করতে পারেন। তাহলে আপনার কোন বন্ধু , আত্মীয় বা পরিচিত কেউ, যে ঘুরতে ভালোবাসে, পুরুলিয়ার অযোধ্যা পাহাড়ে এলে একটা নতুন ঘোরার জায়গা পেয়ে যাবেন।
আর এরকম আরো এপিসোড শুনতে চাইলে, যেখানে শুনছেন এই এপিসোড, সেখানে ফলো, সাবস্ক্রাইব এগুলো করে রাখবেন , তাহলে নতুন এপিসোড এলে মিস হয়ে যাবে না।
Location: goo.gl/maps/5wjCgcKTKXWsEpcY6

Haar Jeet : Story by Rajib Pathak
গল্প পাঠ সৃজন

8th March : International Women's Day , Holi, Shab e Barat - 3 festivals in a single day

Sandhya Bhasha by Paromita | সান্ধ্যভাষা likhechhen Paromita
একদিন তোমার একটা গোটা সন্ধ্যার
নাম হব আমি ।
আমি নেই ।
অথচ ছায়া হয়ে আমি ..
ছেয়ে আছি আমি ।
একটা গোটা সন্ধ্যা সেদিন শুধুই আমিময়।
কারণ আমি নেই ….
ছেড়ে গেছি কোন জ্বলজ্বলে স্মৃতি নয়, কিছু স্তব্ধতা
আর কোন অচেনা সুবাস ।
গোটানো হয়ে গেছে সান্ধ্য আসর ।
তুমি তখন রাজপথে …
অতিন্দ্রীয় অনুভব 'আমি' হয়ে
পায়ে পায়ে হাঁটছি তোমার ।
সেই চপলমতি রাধাভিমানী মেয়েটি ততক্ষণে
লিখে রেখে গেছে ঠিকানায় নিরুদ্দেশ তার ।
তোমার মুখে তখন জীবনানন্দ
''এ পৃথিবী একবার পায় তারে ,পায় না'কো আর।''
অনুভব করলাম ক্রমশঃ
তোমার পরাবাস্তবতার ভাষা হয়ে উঠছি আমি ।
চলে যাবার পর ।
-পারমিতা-
রাতের ডেস্ক
২৬/২/২৩

Anya Ekush : Ekushe February Special Episode. Featuring Amit Debnath

Bhalo Bhashar Din : International Mother Language Day Special

Artificial Intelligence, ChatGPT, Discord and future of mankind

Swapne Dekha Rajputra , Story - Rajib Pathak | Srijaner Podaboli | Storytelling - Srijan Kundu

Amader o Naki Habe : Valentine Week Special : Valentines Day

Dhoriya Rakhio Sohage Adore : Valentine Week Special : Hug Day

Fule Fule Dhole Dhole : Valentine Day Special : Kiss Day

Katha Dilam, Ami Katha Dilam : Valentine Week Special : Promise Day

Gublu Gablu Swapne Pelo W W Idea / Valentine Week Special / Teddy Day

Kya swad hai zindagi me : Valentine week special : Chocolate Day

Tomake Chai , Tumi ki amay bhalobaso ? Valentine Week Special : Propose Day

খাতার ভেতর Chapta Golap ফুল : Valentines Week Special : Rose Day

Ami nishidin tomay bhalobasi
তুমি অবসরমত বাসিয়ো।
নিশিদিন হেথায় বসে আছি,
তােমার যখন মনে পড়ে আসিয়াে॥
আমি সারানিশি তােমা-লাগিয়া
রব বিরহশয়নে জাগিয়া—
তুমি নিমেষের তরে প্রভাতে
এসে মুখপানে চেয়ে হাসিয়াে॥
তুমি চিরদিন মধুপবনে
চির- বিকশিত বনভবনে
যেয়াে মনােমত পথ ধরিয়া
তুমি নিজ সুখস্রোতে ভাসিয়াে।
যদি তার মাঝে পড়ি আসিয়া
তবে আমিও চলিব ভাসিয়া,
যদি দূরে পড়ি তাহে ক্ষতি কী—
মাের স্মৃতি মন হতে নাশিয়াে॥

Kolkata Bookfair Special | বইমেলা স্পেশাল
প্রতিক্রিয়াশীল এর লিংক - spoti.fi/3WXte2W

Valentine week special segment promo ভালো'বাসা' নাকি ভালো ভেটকি ? বাঙালি কি চায় ?
কোন খাঁটি বাঙালিকে যদি ভালোবাসার কথা জিজ্ঞেস করেন, উল্টে জিজ্ঞেস করবে- বাসা? বাসা কেন? ভালো ভেটকি হবে না ? এ হেন বাঙালির প্রেম আগে না অন্য কিছু , সেই নিয়েই সাত থেকে চোদ্দ ফেব্রুয়ারী সাত দিন সাতটা স্পেশাল এপিসোড, সৃজনের পডাবলীতে । এই ইনফোটেনমেন্ট পডকাস্টে আমি মাঝে মাঝে আড্ডা দিতে বসি, যেমন ভাবে বসিরহাটে ইছামতী নদীর ধারে বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিতাম , যেমনভাবে সেক্টর ফাইভে টেকনো ইন্ডিয়ার সামনে কালীদা বা অভিজিতের দোকানে আড্ডা দিতাম, ঠিক সেরকম ভাবেই এখানেও আড্ডা দেই, ওয়ান টু ওয়ান। স্পটিফাই , অডিবল, apple পডকাস্ট, গুগল পডকাস্ট, জিও শাভন,গানা এরকম কোন একটা app থাকলেই ফ্রিতে যোগ দেওয়া যায় আমার আড্ডায় । আর এই স্পেশাল সাতটা এপিসোডের আগে ছাব্বিশটা এপিসোড পাবলিশ হয়ে আছে সে গুলো টুক টুক করে শুনতে থাকতে পারেন। এই স্পেশাল সেগমেন্টটা আসছে ফেব্রুয়ারির সাত তারিখ থেকে। কথা হবে ওখানে। তাহলে দেখা হবে তোমায় আমায়, প্রেমের সপ্তায় ।

Netaji Prasange /Part 2 | Discussion on Deshnayak Netaji Subhash Chandra Bose ft Amit Debnath

Netaji Prasange /Part 1 | Discussion on Deshnayak Netaji Subhash Chandra Bose ft Amit Debnath

Projapoti Kemon Laglo ! My take on Bengali Movie Projapati

Tulsi Tala Story by Gauridas Bhattacharya / তুলসীতলা : গৌরীদাস ভট্টাচার্য
Cover Image: Sumit Roy

Demotivational Podcast
তাহলে কি নিয়ে এই এপিসোড ? জানতে হলে, পুরো এপিসোড শুনতেই হবে ।

Deulghata : Offbeat Purulia Part 3
নমস্কার ,আমি সৃজন। আজকের অফবিট জায়গা নিয়ে বলার আগে দূর্গা পূজা নিয়ে আপনার জেনারেল নলেজ একটু টেস্ট করে নেওয়া যাক। দেবী দুর্গার কোন পা মহিষের ওপর থাকে বলুন তো?
ভাবুন ভাবুন , ভাবা প্র্যাকটিস করুন। ঠাকুর দেখতে বেড়িয়ে ফুচকা খাবেন, বিরিয়ানি খাবেন, চাউমিন, পিজ্জা খাবেন , আড্ডা দেবেন, গান করবেন , ঠাকুর ভালো করে লক্ষ্য করবেন না এ কেমন কথা।
মনে পড়ছে না তো ? বলে দেই। দূর্গা ঠাকুরের বামপা থাকে মহিষের উপর। আজ যে জায়গা নিয়ে কথা হবে আপনি যদি সেখানে আসেন তাহলে মা দুর্গাকে পাবেন মহিষের উপর ডান পা রেখে। ইউটিউব, ফেসবুকে যখন দেখবেন ছবিটাও সাথে দিয়ে দেব। ইন ফ্যাক্ট, তেলকুপি আর ছড়ড়ার ভিডিও ও রিলিজ করা হয়নি এখনো, ওগুলো ও করতে হবে, অনেক দিন হয়ে গেল।
এই যে অফবিট পুরুলিয়া সিরিজের অফবিট জায়গাগুলো নিয়ে কথা বলছি, আমার প্রথম এরকম যে জায়গায় যাওয়ার সুযোগ হয়েছিল সেটা দেউলঘাটা, আজকের এপিসোডের টপিক। সেটা দুহাজার একুশ। ওখানে গিয়ে আলাপ হয়েছিল তনুশ্রী মুখার্জীর সাথে। উনি ওখানে প্রায় চল্লিশ বছর আছেন এবং ওখানেই নিয়মিত পূজাঅর্চনা করেন। ওনার লেখা ছোট একটা বইও আছে - মন্দিরনগরী দেউলঘাটা। ইউটিউবে দেউলঘাটার vlog দেখলে প্রায় সবকটাতেই ওনার সাক্ষাৎকার পাওয়া যাবে। ওনার খুব strong opinion দেউলঘাটা প্রথমে বৌদ্ধ এবং পরে হিন্দু ধর্মালম্বীদের মন্দির, জৈনদের নয়। কিন্তু আমি যা বইপত্র পড়ছি - অহল্যাভূমি পুরুলিয়া, পুরুলিয়ার পথে প্রান্তরে, রাঢ় বাংলায় জৈন অবশেষ - এখানে দেউলঘাটাকে জৈন ধর্মালম্বীদের মন্দির বলেই বলা আছে। বেগলার সাহেব আবার এই মন্দিরগুলোকে শৈবিক বলে লিখেছেন।
তবে আমার ব্যক্তিগত মতে পশ্চিমবঙ্গের সংস্কৃতিতে বিনয় ঘোষ ড্যাল্টন সাহেবকে কোট করে যে যুক্তি দিয়েছেন সেটা সব থেকে বেশি লজিক্যাল। লেফটারন্যান্ট কর্নেল ই টি ড্যাল্টন, ছোট নাগপুরের কমিশনার, ওনার Notes on a Tour in Maunbhoom in 1864-65 এই লেখায় কি বলেছিলেন সেটা একটু পড়ে শোনাই -
These three temples are all of the same type and no doubt correctly ascribed by the people to the srawaks or Jains. I found, indeed, no Jain images, but about a mile to the south, the remains of a Hindoo temple in a grove was pointed out to me, and all the images from all the temples were dedicated to shiva, but amongst the images were several nude figures …that were in probability the “Jinas” of the brick temple.
বিনয় ঘোষ এই টুকুই কোট করেছেন এবং এটা পুরো পিকচার ক্লিয়ার করে দেয়। আমি ড্যাল্টনের পুরো লেখাটা পড়লাম, থ্যাংকস টু ইন্টারনেট, সেখানে উনি বলছেন তিনি এখানে কেবলমাত্র একটাই পশুপাখির সিম্বল পাচ্ছেন, সেটা রাজঁহাস। রাজঁহাস বুদ্ধিস্ট সিম্বল।
তাহলে, আঠেরশ চৌষট্টিতে ড্যাল্টন সাহেব যা যা দেখেছিলেন, যা যা লিখেছিলেন - সেটা মানলে, এখানে ইঁট, কাঠ, পাথরের পাঁজর থেকে ইতিহাস ফিসফিস করে বলছে - সে দেখেছে, রাজাদের উত্থান-পতন , কাঁসাই ধরে বণিকদের আসা যাওয়া , সময়ের সাথে সাথে পাল্টে যাওয়া ধর্ম বিশ্বাস - “জৈন, বৌদ্ধ, তুর্কি, হিন্দু, দিন-ইলাহী, চন্দ্রবিন্দু” । মানে এখানে এই একটা জায়গায় আলাদা আলাদা সময়ে জৈন, ,বুদ্ধ এবং হিন্দু ধর্ম তার প্রভাব রেখেছে। এখনো এখানে একাধিক শিব মূর্তি , গনেশ মূর্তি এবং অন্যান্য হিন্দু দেব দেবীর মূর্তি অক্ষত দেখা যায়। আমি যখন গেছিলাম , ভাঙাচোরা পাথরের পদ্মাসনে বসা পাথরের দেহের অংশ দেখেছি, সেগুলো বুদ্ধের পদ্মাসনে বসা ধ্যানমগ্ন মূর্তি বলেই স্থানীয় মানুষের বিশ্বাস।
এই একটা জায়গাতে এলেই কত কত ইতিহাসের সাক্ষী হওয়া যাবে। ড্যাল্টন বা বেগলার এখানে তিনটে মন্দির দেখেছিলেন, কিন্তু আপনি গেলে এখন দুটো মন্দির পাবেন, একটা ভেঙে গেছে। কে বলতে পারে কয়েক বছর পরে হয়ত এগুলোও আর থাকবে না। Link to Tusu Episode - spoti.fi/3GnFeED

সুপ্রিমেসি Supremessi

Charrah : Offbeat Purulia Part 2
আমি প্রথম ছড়ড়া এয়ারবেসের কথা যার কাছে শুনেছিলাম, তিনি বলেছিলেন এই এয়ারপোর্ট নাকি আজাদহিন্দ বাহিনীর বানানো, নেতাজী সুভাষচন্দ্র বোস নাকি এখানে এসেছিলেন। সেটা সত্যি নয়, নেতাজি পুরুলিয়ায় এসেছিলেন, তবে অনেক আগে , সে গল্প অন্যদিন করব।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় এই এয়ারবেস মিত্রশক্তি শক্তি অর্থাৎ আমেরিকা, ইংল্যান্ড, রাশিয়া, চীনের যে জোট তাঁরা বানিয়েছিলেন মূলত আমেরিকার বিমানঘাঁটি হিসাবে। আমেরিকার যুদ্ধবিমান পুরুলিয়ার প্রায় পঞ্চাশ ডিগ্রি গরমের কথা ভেবে বানানো হয় নি, তাই ইঞ্জিনে আগুন লেগে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এই এয়ারবেস স্ট্র্যাটেজিক কারণেই বেশি ব্যবহার করা যায়নি, সেসব গল্প উইকিপিডিয়ায় আছে, আমি রিপিট করছি না।
শেষ প্লেন, বলা ভালো শেষ ফাইটার প্লেন, এখান থেকে ওড়ে নাইন্টিন ফর্টিফাইভে। তারপর থেকে -
রানওয়ে জুড়ে পড়ে আছে শুধু কেউ নেই শূন্যতা
আকাশে তখন থমকিয়ে আছে মেঘ
বেদনাবিধুর রাডারের অলসতা-
কিঞ্চিৎ সুখী পাখীদের সংবেগ।
এমন বিশাল বন্দরে বহুকাল
থামেনি আকাশবিহারী বিমান যান
এখানে ওখানে আগাছার জঞ্জাল
শূন্য ডাঙায় বায়ু বীতগতিবেগ।
নমস্কার আমি সৃজন। সৃজনের পডাবলীতে চলছে অফবিট পুরুলিয়ার গল্প আর আজ আমরা মহীনের ঘোড়াগুলির প্রথম album সংবিগ্ন পাখিকূল ও কলকাতা বিষয়ক থেকে রানওয়ে গান শুনতে শুনতে চলে এলাম ছড়ড়া। পুরুলিয়া থেকে আট কিলোমিটার দূরে। আপনি ভাবছেন, সৃজন তো ভাঙ্গা মন্দিরে গুপ্তধনের খোঁজ দেবে বলেছিল, তাহলে মন্দির থেকে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ, এয়ারপোর্ট এই সব কেন বলছে ? মন্দির কোথায়। আরে সেটাতেই তো আসছি, তার আগে এটা বলুন তো, তেলকূপির এপিসোডে মন্দিরের এত কথা বললাম, দেবতার কোন কথা বললাম না , আপনার মনে কোন প্রশ্ন জাগল না ? ভাবুন, এর উত্তর পরে দেব। আপাতত ছড়ড়ার কথা বলি। এখানে গিয়ে মন্দির দেখা হয়নি আমার, দেখেছি মূর্তি, জৈন তীর্থঙ্করদের। পাকবিড়া নিয়ে যে এপিসোড হবে সেটাতে পুরো ডিটেলে বলব চব্বিশজন তীর্থঙ্কর, ঋষভনাথ থেকে মহাবীর সবাইকে নিয়ে। সাথে কথা হবে তাদের সিম্বল নিয়েও।
বিনয় ঘোষের পশ্চিম বঙ্গের সংস্কৃতি বইতে দেখতে পাই ড্যাল্টন সাহেব ১৮৬৪-৬৫ এ এবং বেগলার সাহেব ১৮৭২-৭৩ তে ছড়ড়ায় দুটো মন্দির দেখেছিলেন, রেখ দেউল বা রেখা দেউল এই শ্রেণীর মন্দির। এই রেখ দেউল টাইপের মন্দির কি রকম ? পুরীতে জগন্নাথ দেবের মূলমন্দির মনে করুন। গর্ভগৃহ, আর তার উপর শিখর। রেখা অর্থাৎ স্ট্রেট লাইন থেকেই এই ধরনের মন্দিরের নাম। তেলকুপি ও তাই ছিল। উড়িষ্যার লিঙ্গরাজ মন্দির আর এক example রেখা দেউলের। এখানেই দেখতে পাই উড়িষ্যায় ও বাংলার মন্দিরের স্টাইলের মিল। অথবা বলা যায়, সে সময় এই চত্তরের সাথে নিবিড় যোগ ছিল আজকের উড়িষ্যার। ইন ফ্যাক্ট, এটাও মনে করা হয়, তেলকূপির বাণিজ্যিক সমৃদ্ধির একটা বড় কারন উড়িষ্যার যোগাযোগ। ও হো, দেখছেন তো, গল্প করতে করতে তেলকুপি ফিরে গেছি। ছড়ড়ায় ফিরি।
বিনয় ঘোষ around 1960, এখানে একটা মন্দির দেখতে পাচ্ছেন। সেটা এখনো আছে বলে শুনেছি। আমি যেখানে কাজে গেছিলাম, তার ঠিক সামনেই একটা জায়গায় দুদিকে দুটো ঘর। একটা ঘরে যে কটা মূর্তি আছে, মোটামুটি ঠিক থাকে আছে,উল্টো দিকের ঘরে সব ভাঙাচোরা। তবে সিঁদুর মাখানো, এখন হিন্দুমতে পুজো হচ্ছে, জৈন তীর্থঙ্করদের। আর পাকবিড়া ছাড়া বাকি সব জায়গায় বেশিরভাগ মূর্তিই ভাঙাচোরা দেখেছি আমি।

Feludaverse : Multiverse of #Feluda : Hatyapuri, Shabash Feluda, Feludar Goyendagiri
In this adda, I have talked about the present or upcoming feludas and my perception and expectation from 3 Feludas : Parambrata Chattopadhyay, Tota Roy Choudhury and Indranil Sengupta . These stories would be directed by Arindam Sil, Srijit Mukherjee and Sandip Ray respectively.
This video podcast is available on YouTube, Facebook and Spotify in Video format and on other platforms as audio only.

Introduction to Offbeat Purulia

Telkupi / Offbeat Purulia Part 1
অফবিট পুরুলিয়ার প্ৰথম পর্বে কথা হবে এই তেলকুপি নিয়ে।

Trailer for upcoming segment Offbeat Purulia
Trailer for upcoming segment Offbeat Purulia
As video podcast on Spotify and YouTube and Audio Only on other

World Cup Nostalgia : Italia 90 , Diego Maradona

Jambu Hriday Chhuye Gelo !

Happy International Men's Day
International Women's Day কবে জানেন ? জানেন আশা করি , অফিস কাছারিতে , স্কুল কলেজে সেলিব্রেশন হয় , তাছাড়া বিজ্ঞাপন , সিরিয়ালেও বলা হয়। মনে না পড়লে বলে দিচ্ছি - 8th March. এই দিন ছেলেরা অনেকেই মজা করে বলে - হ্যা হ্যা , তোমাদের তো জাস্ট একদিন, বছরের বাকি সবদিনই International Men's Day. ওটা মজা করে বলা হলেও Recently জানলাম International Men's Day আছে এবং সেটা 19th নভেম্বর।
এবার আপনি যদি মহিলা হন, আপনি হয়ত ভাবতে বসবেন কি গিফট দেওয়া যায় বর কিম্বা বয়ফ্রেন্ডকে - বই , শার্ট , সোয়েটার , পারফিউম , ঘড়ি। আমি একটা সাজেশন দেই - বেচারাকে এক মাস ছেড়ে দিন। কুড়ি তারিখ থেকে ওয়ার্ল্ড কাপ ফুটবল শুরু হচ্ছে, কুড়ি নভেম্বর। শেষ হবে ডিসেম্বরের আঠেরো। এ’ক’দিন জেনে নিন কবে কবে তার ফেভারিট টিমের খেলা আছে। সেদিন সেদিন ডিস্টার্ব করবেন না। ঘরে চা কফি চাইলে , সাথে সাথে দিয়ে দিন। বয়ফ্রেন্ড হলে খেলার সময় ফোন করে “বাবু খেয়েছো” করবেন না। দু আড়াই ঘন্টা না খেলে কিস্সু হবে না। বরং খাওয়ার সময় গোল হলে উত্তেজনায় গলায় খাবার ঢুকে গেলে বিপদ বেশি।
খুব ছোট মেসেজ, মেন্স ডের আগেই শেয়ার করলাম, উনিশ কুড়ি তারিখের আগেই যাতে আপনার প্রিয় মানুষের কাছে পৌঁছে যায়। আর যাতে আপনার প্রিয় মানুষের কাছে পৌঁছে যায় , তার জন্য আপনি এই ভিডিও শেয়ার করে ফেলুন। এরকম টুকটাক ক্যাজুয়াল কথাবার্তা হচ্ছে আমার পডকাস্ট সৃজনের পডাবলীতে। স্পটিফাই , গুগল পডকাস্ট, প্রাইম মিউজিক এরকম সমস্ত অডিও প্লাটফর্মে শোনা যাচ্ছে।

Ballavpurer Roopkotha Kemon Dekhlam
Is Ballavpurer Roopkotha as good as it is being reviewed by many on social media ? Is it only a tribute to Badal Sarkar or is it a tribute to Swapan Saha as well ! Listen to the podcast to know my take on this movie adapted from play by Badal Sarkar.
Copyright of Ballavpurer Roopkotha title and poster belongs to the respective owners

My best wishes to Mir Afsar Ali for his Gappo Mir-er Thek
প্রশ্নটা সহজ, আর উত্তরও জানা কারন মীর আফসার আলি প্রতিনিয়ত উত্তর দিয়ে যাচ্ছেন ।
বসিরহাটে এফ এম রেডিও পৌঁছাত না , তাই, মীর , এই নামটার সাথে প্রথম পরিচয় টিভির দৌলতে । খাসখবর বদলে দিয়েছিল খবর দেখার স্বাদ । তারপর আরো কত কি … হাউ মাউ খাউ , ব্যাটা বেটির ব্যাটেল , মীরাক্কেল … । 2001 থেকে 5 কেটেছে কলকাতায় , FM শুনেছি, তবে প্রচুর নয় । কলকাতায় ফেরা আবার 2010 … সানডে সাসপেন্স ইতিমধ্যে খুব জনপ্রিয় , সানডে সাসপেন্স শুনে চমকে গেলাম । এভাবেও গল্প বলা যায় ?
রেডিও , টিভি, anchoring , ব্যান্ডেজ …এর পাশাপাশি ইউটিউব, শুরু হল ফুডকা .. সেটাও আজ অন্য উচ্চতায় পৌঁছে গেছে । যেখানেই হাত দিয়েছেন , সোনা ফলিয়েছেন …
একটা মানুষ, নিজেকে প্রতিবার ভাঙেন, গড়েন, নতুন করে ইন্সপায়ার করেন আমাদের মতন ফ্যানদের।
মীর ছাড়া মিরচি হতে পারে বাঙালি কখনো ভাবতে পারেনি। সেই তিনিই সকাল ম্যানের সেট লাইফ ভেঙে আবার তিনি নতুন অবতারে , নতুন জার্নিতে । ফেসবুকে চালু হয়েছে গপ্পো মীরের ঠেক । তবে আমার ধারনা এখন যেটুকু দেখা গেছে , সেটা জাস্ট নেট প্র্যাকটিস । বড় কিছু আসছে ।
আপাতত উনি সোশ্যাল মিডিয়ায় আমার মতন ফ্যানদের ফিডব্যাক নিচ্ছেন , তাই শুধু লেখার বদলে , অল্প কিছু বলে গঙ্গাজলে গঙ্গাপুজো করার লোভ সামলাতে পারলাম না ।
সবার শেষে মীরকে বলব,
এসো পডকাস্ট শিখিতে আপনি অন্যতম বিচারক ছিলেন, এটা আমি প্রাইজ পাওয়ার পরে জেনেছি, আমার মতন নভিসের পডকাস্টকে আপনি শুনেছেন এটাই আমার জন্য যথেষ্ট পাওনা । তার ওপর ডিজিটাল সেফটি পডকাস্ট আপনার ভালো লেগেছিল, এটার থেকে বড় পাওনা আর কিছু হয় না । আপনি যেটাই করুন , আমরা , আপনার ফ্যানরা আপনার সাথে আছি। ভালো থাকবেন ।

Hrid Niketan .... My Facebook Live Adda with Paromita Nagdey

World's Dirtiest Man Dies After First Wash / Chi Chi Etta Janjal
আমি যখন আড্ডা দিতে বসি, আমি কিন্তু চেষ্টা করি, আমার বক্তব্য যতটা সম্ভব জেন্ডার নিউট্রাল রাখতে, তবে আজ, আমাদের, পুরুষদের দিকে আঙ্গুল হয়ত একটু বেশি উঠবে। আমার ও কিছু কিছু ক্ষেত্রে মনে হয়েছে এই অভিযোগের কিছুটা বোধহয় সত্যি। শীতকালে , আমরা একটু তাড়াতাড়িই স্নান করে নেই, যদি আদৌ করি। পরিবারের সাথে থাকলে প্রেশারে পড়ে একেবারে বাদ দিয়ে দেওয়া যায় না। তবে, বিয়ের আগে, যখন পুণে বা ভুবনেশ্বরে থাকতাম, শীতকালে দু-চার দিন, স্নান করব করব ভেবেও দুটো আড়াইটের দিকে গিয়ে আল্টিমেটলি হয়ত কাটিয়ে দিয়েছি। এটা আমার মনে হয় কম বেশি সব ছেলেই একটু আধটু করে থাকে। তবে সৃজনের পডাবলীতে, আমি সৃজন, আজ আড্ডা দেব, না আমাকে নিয়ে না, Iran এর Amou Hajiকে নিয়ে।
ভোটের রেজাল্ট, সাইক্লোন বা কোন স্পেসিফিক ইভেন্ট না থাকলে ইদানিং টিভি খুলে খবর খুব একটা দেখা হয় না। ফেসবুক , টুইটার , ইউটিউব এইসব থেকেই যেটুকু খবর পাওয়ার, সেটুকু হয়ে যায়। ফেসবুক বা ইনস্টাগ্রামে চোখে পড়ল এই খবরটা - “‘World’s dirtiest man’ dies at 94, months after his first wash”। ভদ্রলোক সম্পর্কে কিউরিসিটি জাগলো । নেটে একটু ঘাঁটাঘাঁটি করে যা পেলাম সেটা বলি। একটা statutory disclaimer - ইন্টারনেটের আলাদা আলাদা সাইটে অনেক ইনফরমেশন আছে, আমি মূলত CNN আর BBC র যে রিপোর্ট এর ওপর বেস করে আজ এই আড্ডা দিতে বসেছি, তার লিংক ডেস্ক্রিপশানে দেওয়া আছে। কভারের ছবি নেওয়া CNN এর সাইট থেকে, ছবির মালিক AFP , গেটি ইমেজেস।
Amou Haji , ফার্সি থেকে বাংলায় ট্রান্সলেট করে ওনাকে হাজি কাকু বলাই যায়। তো আমাদের এই হাজি কাকু থাকতেন ইরানের ফার্স রাজ্যের দক্ষিণ প্রান্তে , দেজগাহ গ্রামে। “একাই থাকব, একাই দুটো ফুটিয়ে খাব” - এই পণ করে সন্ন্যাসীর জীবন কাটিয়েছেন প্রায় সারা জীবন। সাল কি তারিখ, বছর কি মাস সেসব হিসেব কেউ রাখেনি , তাও মোটামুটি প্রায় ষাট বছর স্নান করেন নি আমাদের এই হাজি কাকু। উনি চাইল্ডহুড ট্রমার কথা জানিয়েছিলেন, ওনার মনে হত স্নান করলে , সাবান মাখলে নাকি ওনার শরীর খারাপ হয়ে যাবে, তাই লিটারেলি একা একা কুড়ে ঘরে কাটিয়েছেন সারা জীবন। ছোটবেলায় কেউ ওনাকে জোরে জোরে ছোবড়া ঘসে স্নান করতো কি ? কে জানে।
যাই হোক ,বেশ কিছু বছর আগে ওনাকে একবার ধরে বেঁধে গাড়ি করে নদীতে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করা হয়েছিল, উনি তখন ফিল্মি কায়দায় চলন্ত গাড়ি থেকে লাফ দিয়ে পালিয়েছিলেন। এবার পারেন নি, এবার ওনাকে ধরেবেঁধে স্নান করানো হয়েছিল, তার পরেই ওনার এই মৃত্যু।
একটা জোক শুনেছিলাম, এক ভদ্রলোক বাড়িতে তিনটে সুইমিং পুল বানাবেন বলে ডিসাইড করেছেন, তো রাজমিস্ত্রি জিজ্ঞেস করেছে, স্যার তিনটে সুইমিং পুল কেন ? একটাতেই তো হয়ে যাবে। ভদ্রলোক উত্তর দিলেন - একটায় গরম কালের জন্য ঠান্ডাজল থাকবে , একটায় শীত কালের জন্য গরমজল থাকবে। মিস্ত্রি বলল - ঠিক আছে , দুটো হল , অন্যটা ? তো ভদ্রলোক উত্তর দিলেন - ওটায় জল থাকবে না, যেদিন স্নান করতে ইচ্ছে করবে না, সেদিন ওটায় নামব।
আপনার হয়ত তিনটে সুইমিং পুল বানানোর সামর্থ নেই। আমি ধরেই নিচ্ছি নেই। আপনি যেটা করতে পারেন , এই এপিসোড বাড়িতে জোরে জোরে চালিয়ে দিন। শীতকালে যেদিন আপনার স্নান করতে ইচ্ছে করবে না সেদিন বাড়ির লোককে এই এপিসোডের কথা মনে করিয়ে বলতে পারবেন, হাজি কাকু স্নান করতে চান নি , ওনাকে জোর করার ফল কি হয়েছিল মনে আছে তো ? আর আপনার বন্ধুদের বা আত্মীয়স্বজনের মধ্যে কেউ আছেন যিনি হাজি কাকুর রেকর্ড ভাঙতে পারবেন বলে মনে হয় ? তাহলে কমন ফেসবুক বা হোয়াটস্যাপ গ্ৰুপে এই এপিসোডের লিংক দিয়ে তাকে ট্যাগ করে তার রিয়্যাকশন দেখুন।
সবাইকে নিয়ে ভালো থাকবেন, রোজ স্নান করবেন, আবার কথা হবে সামনের সপ্তায়। ধন্যবাদ।
edition.cnn.com/2022/10/26/asia/worlds-dirtiest-man-dies-iran-haji-scli-intl/index.html
www.bbc.com/news/world-middle-east-63389045

Bankura Horse / Bankurar Terracotta Ghora from Bishnupur , Panchmura, Sonamukhi

Kemon dekhlam Karnasubarner Guptadhan ?

Mon Kharaper Bijoya / মন খারাপের বিজয়া
নমস্কার, আমি সৃজন । সৃজনের পডাবলীতে আজ শুধু মন খারাপের গল্প ।
পোস্ট কোভিড সিন্ড্রোমের থেকে পোস্ট পুজো সিন্ড্রোমের ধাক্কা খুব একটা কম কি ? বিশেষ করে ,আমরা ,যারা কাজের জন্য বাড়ির বাইরে থাকতে বাধ্য হই । আমাদের জন্য যতটা কষ্টের , বাড়িতে বউ , বাচ্চা , মা , বাবা , ভাই , বোন তাদের জন্যেও তো ততটাই ।
বাড়ি নিয়ে একটা খুব সুন্দর লেখা পড়লাম ফেসবুকে । বাড়ি বলতে আমরা সেই জায়গাটা বুঝি , যেখানে প্রথম জ্ঞান হয় । আমাদের পার্মানেন্ট address পাল্টে পাল্টে যায় সময়ের সাথে সাথে । কিন্তু আমাদের অবচেতন মনে সেই জায়গাটা যে পার্মানেন্ট address বানিয়ে ফেলে , সেটা মোছা সম্ভব হয় না। তারপর যতই নতুন নতুন ঠিকানা সরকারি ডকুমেন্টে লেখা হোক না কেন । বাড়ি ছাড়ার একটা কষ্ট থেকেই যায়, সে আমরা express করি বা না করি । বাড়ি নিয়ে অন্য একদিন আড্ডা দেব, আজ পুজো ।
কবীর সুমনের একটা লাইন আমার খুব প্রিয় । infact, একটা নয়, অনেক লাইনই প্রিয় । তবে প্রিয়তম লাইনগুলোর একটা - "সে চলে গেলেও থেকে যাবে তার স্পর্শ আমারই হাতের ছোঁয়ায়;.নুয়ে পড়বেই স্মৃতিরা যেখানে দেবদারু তার কপাল নোয়ায়" ।
দুর্গাপুজো ও সেরকমই । মাস তিনেক আগে থেকেই অনলাইন - অফ লাইনে কেনা কাটা শুরু, পুজো আসছে- পুজো আসছে এই আনন্দে সব কিছুই ভালো লাগে । সব থেকে ভালোলাগার ব্যাপারটা হল , কয়েকদিন প্রিয় মানুষের সাথে , প্রিয় মানুষদের সাথে কিছুটা বেশি সময় কাটানো যাবে । ঠাকুর দেখতে বেরোলে হাজার হাজার অচেনা মানুষ , সবাই আনন্দ করছে, সেই আনন্দে সামিল হওয়া যাবে। এই লোভ কাটানো যায় কি ?
এই চারটে দিনে বছরের বাকি তিনশ একষট্টি দিনের রসদ জোগাড় করে রাখতে হয় । এই ফিক্সড ডিপোজিট , একটু একটু করে ভাঙিয়ে , চালাতে হয় সারা বছর । আর প্রথম হাত পড়ে, পুজোর ঠিক পরে, কাজের জায়গায় ফেরবার সময় ।
মজার ব্যাপার এই সব সময়েই সব থেকে বেশি করে ভোগায় app cab এর অসভ্যতা । একে বাড়ি ছেড়ে যাওয়ার কষ্ট , তার উপর ক্যাব ড্রাইভাররা পরপর হয় ক্যানসেল করতে থাকে , না হয় জুলুম শুরু করে । মনে হয়, থেকে যাই । উপরওয়ালার ইচ্ছে নয় ফিরে যাওয়া । কিন্তু EMI গুলো বাস্তবের মাটিতে নামিয়ে আনে । আর হাতে গোনা যে কটা ছুটি, তার থেকে কয়েকটা কমে যাওয়া afford ও করা যায়না ।
বন্ধুরা কথা হয়, চল , সব ছেড়ে ছুড়ে বিজনেস শুরু করি । কিন্তু মধ্যবিত্ত বাঙালি অন্যের ব্যবসার জন্য পুরো effort লাগিয়ে দিতে পারি, নিজের ব্যবসা শুরু করার সাহস জোগাড় করে উঠতে পারি না।
যেদিন সেই সাহস জোগাড় করে ফেলতে পারবো, বাড়ির লোকজনকে ফেলে কাজের জায়গায় ফেরার কষ্ট আর থাকবে না, বন্ধুদের সাথে দেখা করবোই ভেবেও দেখা না করার কষ্টটা থাকবে না । বিজয়ার কষ্ট বেশ কিছুটা কমবে।
আপনার পুজো কেমন কাটলো ? নাহ , এটা বোকা বোকা প্রশ্ন হয়ে গেল। পুজো কারো খারাপ কাটে না, খারাপ কাটতে পারে না, সে টাকি কিম্বা টরেন্টো , পৃথিবীর যে প্রান্তই হোক না কেন । আমার পুজো কিন্তু দারুন কেটেছে । শুনবেন সেই গল্প ? জানান আমাকে । ফেসবুকে , ইনস্টাগ্রামে সৃজনের পডাবলী পেজে বা ইউটিউবে সৃজন কুন্ডু প্রোফাইলে ।
এই এপিসোড শোনা যাচ্ছে স্পটিফাই সহ সব লিডিং পডকাস্ট প্লাটফর্মে , এবং তারপর অডিওর উপর ভিডিও চাপানো হলে ইউটিউবে এবং ফেসবুক পেজে ।
কেমন লাগছে সৃজনের পডাবলী ? জানান আমাকে।যেখানে আছেন, যেমন আছেন, তাতেই ভালো থাকুন, আনন্দে থাকুন। আবার কথা হবে। ধন্যবাদ।

Bengals First Durga Puja
এটা ফেসবুকে লিখেছিলাম এবং প্রচুর হা হা রিয়্যাক্ট ও পড়েছে এই পোস্টে। এটা জাস্ট মজা করে বলা হলেও, ঘটনা হল, যে দুর্গাপুজো বাংলার প্রাচীনতম, সেটার শুরু কিন্তু দূর্গা পুজোর প্রায় দু সপ্তা আগে থেকেই হয়, এবং মোটামুটি উনিশ দিন ধরে চলে । প্রথম দুর্গা পুজো বললাম কারন আমাদের বাঙালিরা দুর্গাপুজো বলতে যেটা বুঝি সেই ফরম্যাটের পুজো। এখানে দেবী সপরিবারে আছেন, একদিকে গনেশ আর লক্ষী, অন্য দিকে সরস্বতী এবং কার্তিক। মাথার উপর বা মাথার পিছনে শিব ঠাকুর। অন্যদিকে দুর্গাপুজোর অন্যরূপ, যেটা উত্তর ভারত বা পশ্চিম ভারতে বহুল প্রচলিত সেই নভরাত্রিতে দূর্গা একাই থাকেন , পরিবার ছাড়া। সেই ফরম্যাট আজকের আলোচনার মধ্যে পড়ছে না।
নমস্কার আমি সৃজন , আজ সৃজনের পডাবলীতে কথা হবে বিষ্ণুপুরের, দেবী মৃন্ময়ীকে নিয়ে। বাংলার প্রথম দূর্গাপুজো , শুরু হয়েছিল হাজার বছরের ও বেশি আগে এবং সেই ট্রাডিশন আজও চলছে।
বাংলার প্রথম দুর্গাপুজো, এই যে কথাটা বললাম, এই কথাটায় বিতর্ক হতে পারে। কারন এখনকার বাংলার ভৌগলিক সীমারেখার সাথে হাজার বছর আগেকার ভৌগলিক সীমারেখা এক ছিল না। সেই সময় ওই অঞ্চলের বা রাজ্যের নাম ছিল মল্লভূম , যার বিস্তৃতি ছিল এখনকার বাঁকুড়া , বীরভূম , বর্ধমান , মেদিনীপুরের কিছুটা , মুর্শিদাবাদের কিছুটা , পুরুলিয়ার কিছুটা হয়ে এখনকার ঝাড়খণ্ডের খানিকটা জায়গা যেটা ছোটনাগপুর মালভূমির গুরুত্বপূর্ণ একটা অংশ। এই মল্লভূমের রাজধানী ছিল আজকের বিষ্ণুপুর। বিষ্ণুপুর নামটা অনেক নতুন , রাজারা শাক্ত থেকে বৈষ্ণব হওয়ার পরের ঘটনা।
মল্লযুদ্ধ কথাটা কমবেশি আমরা জানি, এখন যেটাকে কুস্তি বা রেসলিং বলা হয়। শোনা যায় মল্লভূমের প্রথম রাজা রঘুবীর কুস্তিতে খুবই পারদর্শী ছিলেন , সেই থেকে ওনার নাম হয় আদি মল্ল এবং রাজ্যের নাম মল্লভুম । ওনার নাম ওনার সময়ে আদি মল্ল ছিল কিনা আমার personally একটু doubt আছে। নতুন কোন মল্ল না এলে আগের লোককে আদি বলার প্রয়োজন পরে কি ? মনে হয় না। দ্বিতীয় চন্দ্রগুপ্ত মৌর্য জানতেন তিনি দ্বিতীয় , প্রথম চন্দ্রগুপ্ত কি জানতেন যে পরে আর একপিস আসবে !
যাইহোক , বইপত্তর বা ইন্টারনেটে সবাই আদি মল্ল বলছে, আমি কোন রকম জ্যাঠামি না করে সেটাতেই stick করি। এই আদি মল্লর রাজধানী ছিল জয়পুরের জঙ্গলের কাছে কোথাও , জায়গার নাম কি ছিল বলুন তো ? নাহ বনলতা ছিল না, ছিল প্রদ্যুম্নপুর।
এবার একটা গল্প বলব, যেটার আমি অনেকগুলো ভার্সান পেয়েছি ইন্টারনেটে। হাজার বছর ধরে মানুষের মুখে মুখে ঘোরার ফলে অনেকগুলো ভার্সন হওয়া আশ্চর্যের কিছু না। আমি যে ভার্সানটা বলছি, সেটা আমি যখন গত বছর নভেম্বরে, সপরিবারে বিষ্ণুপুর ঘুরতে গেছিলাম, তখন স্থানীয় গাইডের কাছে শুনেছিলাম। 997 সালের ঘটনা , যদিও মল্লরাজ্যে তখন মল্লাব্দ দিয়ে সাল গননা হয়, তবে সেই মল্লাব্দর হিসেবে ডেট দিয়ে আপনার মাথা খারাপ করছি না।
আদি মল্লর বংশধর , মল্লরাজ জগৎমল্ল বেড়িয়েছেন শিকারে । জয়পুরের জঙ্গল এখনো বেশ ঘন জঙ্গল , তখন আরো বেশি ছিল। সেটাই স্বাভাবিক, কারন ব্রিটিশ আমলে এখনকার গড়িয়ায় বাঘ আর সল্টলেকে কুমির ঘুরে বেড়াতো , এতো হাজার বছর আগের কথা।
যাই হোক, গল্পে আসি , জগৎমল্ল এক জায়গায় এক হরিণকে দেখে তাড়া করেন এবং অব্যার্থ নিশানায় তার দিকে তীর ছোড়েন। তীর হরিণকে ছোয়ার মুহূর্তে, সে হাওয়ায় মিলিয়ে যায়, রাজা তো অবাক । রাজা এবার লক্ষ করেন সেখানে এক বটগাছের ডালে একটি বক বসে আছে , তিনি তার শিকারী বাজপাখিকে পাঠান সেই বককে মারতে। এবারও অদ্ভুত ঘটনা , বক মেরে ভাগিয়ে দেয় রাজার সাধের বাজকে।
রাজা যখন ভাবতে থাকেন কি ঘটছে , সেই সময় মা দূর্গা রাজার সামনে আবির্ভূত হয়ে জানান , এসবই তার সৃষ্টি করা মায়া। সেই বটগাছের নিচে খুঁজলে পাওয়া যাবে দেবীর মুখমন্ডল। তাতে মূর্তি গড়ে সেইখানেই প্রতিষ্ঠা করতে হবে। শুধু তাই নয় , রাজধানীও সরিয়ে আনতে হবে সেখানে। জগৎমল্ল সেটাই করেন। সেই বটগাছের নিচে সত্যি সত্যিই খুঁজে পাওয়া যায় দেবীর মুখের আদল। গঙ্গামাটি দিয়ে বাকি মূর্তি গড়া হয়। সেই মূর্তি, সেই মন্দির এখনো স্বমহিমায় বিরাজমান। তবে পাশের রাজপ্রাসাদ ভেঙে পড়েছে সময়ের সাথে সাথে, মেইনটেন্যান্স এর অভাবে।
বিষ্ণুপুরে গিয়ে যে কাউকে জিজ্ঞেস করবেন - মৃন্ময়ী মন্দির, আপনাকে নিয়ে চলে যাবে। নিজে গাড়ি করে গেলে তো গুগল ম্যাপ আছেই। মা মৃন্ময়ীর যে ছবি পডকাস্টের কভারে দেওয়া আছে , সেটা উইকিপিডিয়া থেকে নেওয়া। রাজপরিবারের অনুমতি ছাড়া দেবীর ছবি তোলা নিয়মবিরুদ্ধ। তাই ছবি তোলার ইচ্ছে থাকলে অনুমতি নিয়ে যেতে হবে। আর এখানে লক্ষ্য করার মতন বিষয় হল, লক্ষীর উপরে গনেশ এবং সরস্বতীর উপরে কার্তিক থাকে। অন্য সব দুর্গাপুজোয় যেটা উল্টো।

"LOGO" ka kaam hai kehna

Dashabatar Tash

BegunKodar : Haunted Rail Station in Purulia
In this episode , I have shared my experience at Begun Kodar Railway station, which is known as a haunted station. What did I see there ?